বই রিভিউ - Review24.online
সুইসাইড নোট এই বইটা হয়তো অনেকেই পড়েছেন
আবার কেউ বা পড়েন নি, তবে পড়ার আগ্রহ আছে
তাই না?
প্রথমত আমারো ছিলো। কিন্তুু বইটির ভিতরের অংশ
তেমন ভালো লাগে নি,
আপনি কি হাইপ দেখে বই কিনে ঠকেছেন?
আমি ঠকেছি তাও খুব বাজেভাবে।
বই: সুইসাইড নোট
লেখক : শহিদুল ইসলাম রাজন
প্রকাশন: বিসর্গ
সুইসাইড নোট বই রিভিউ :
'সুইসাইড নোট' বইটা পড়ার পর আমি পুরোপুরি হতাশ। এ তো ভারতীয় সিরিয়ালের কাহিনী! এটি মা*র্ডার মিস্ট্রি, তবে লেখক যেভাবে খু*নের বর্ণনা দিয়েছে, কাহিনী সাজিয়েছে তাতে বারবার মনে হয়েছে অত্যধিক ভারতীয় সিরিয়াল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।
বইয়ের নায়ক শ্রাবণ, যার বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে গেছে। নায়িকা নীলা, শ্রাবণের জীবনে ভালোবাসা হয়ে আসে সে। শ্রাবণ নীলাকে পেয়ে সব দুঃখ ভুলে যায়। শ্রাবণ নীলার অত্যধিক খেয়াল রাখা শুরু করে, আর এটা নীলাকে বিরক্ত করে। সব ব্যাপারে শ্রাবণের নাক গলানো স্বভাব তাদের সম্পর্ক খারাপ করে দেয়। গল্পে আগমন ঘটে ভিলেনের। নীলা ভিলেনের প্রতি দূর্বল হয়, কথা কমিয়ে দেয় নায়কের সাথে। এতে নায়ক শ্রাবণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিশোধ নিতে বিয়ে করে নীলাকে। নীলা শ্রাবণের ছলনায় আবার নতুন করে তাকে ভালোবাসে। এদিকে বিয়ের পর শুরু হয় শ্রাবণের প্রতিশোধ। আবার ভিলেনের আগমন। নীলা ভিলেনের সাথে সব শেষ করার জন্য দেখা করতে চায়। শ্রাবণ ভাবে নীলা আবার তাকে ধোঁকা দেয়। ব্যস! সে ভিলেন আর নীলাকে হাতে নাতে ধরে আনে এবং ভিলেনকে খু*ন করে নিজেও আত্ম*হত্যা করে। তার ডায়েরিতে সে তার কষ্টের সব কথা লিখে যায়। সে আবার তার আপন বাবা মা মরে যাওয়ার পর তাদের কংকাল এনে নিজের কাছে রাখে। মানে কি এক্টা হিজিবিজি অবস্থা!
এই বই নাকি বেস্ট সেলার। তবে বেস্ট সেলার হওয়ার একটা কারণ আমাদের দেশের কিছু তরুণ-তরুণী আবার লুতুপুতু প্রেম কাহিনীতে আগ্রহী। অধিকাংশই আবার প্রেমে ব্যর্থ। তাই এই ব্যর্থ লুতুপুতু কাহিনী তাদের ভালো লাগতেই পারে। এর মধ্যে একদল আছে লেখক প্রেমী। এরা বই না লেখককে প্রাধান্য দিয়ে বই কেনে এবং সে বইয়ের বস্তা বস্তা ভালো রিভিউ দিয়ে আমাদের মতো পাঠকদের টাকা জলে ফেলে। এই বইতে না আছে ভালো একটা প্লট, না আছে টুইস্ট। আছে বিশাল বিশাল আবেগী কথাবার্তা। এগুলাই পাঠক সমাজের মাথা খেয়েছে। আজকাল আমরা সাহিত্য বুঝি না। তাই আমাদের দেশে যে কেউ একখানা বই লিখে লেখক হয়ে যাচ্ছে, তাদের বইও মানুষ গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে। ভালো লেখা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না, কালের গর্ভে ভালো লেখা হারিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমরা পাঠক সমাজই দায়ী।
উপসংহার :
সবশেষে বলবো আমি সাধারণ পাঠক।লেখকের সাথে কোনো শত্রুতা নেই আমার। আমার লেখা ভালো লাগে নি সেটাই জানিয়েছে। একজন লেখকের বই লেখার আগে অনেক পড়া উচিত, অনেক জানা উচিত। যেটা এখনকার লেখকরা কতটুকু করেন তা তার বই দেখলেই বুঝা যায়।
রিভিউ লেখক :
~ ইরিনা জান্নাত ইরি
Post a Comment